Posts

Showing posts from June, 2017

মায়ের আকুতি

Image
যে হাতে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছিলে, যে হাতে খোদার কাছে সন্তান ভিক্ষে চেয়েছিলে, যে হাতে ভাত তুলে না খেলে খোকা ভাতই খেত না, যে হাতে বানের জলে তিনরাত আগলে রেখেছিলে, সে হাত আজ পাতলে তুমি শুধু ভাতের জন্যে? "কি করুম বাজান, শরমের কথা, ক্ষিদাটা অহন আর সয় না, চক্ষেও কম দেহি ,তাই কামে নেয় না কেউ" খোকা কই এখন? আপনার খোঁজ নেয় না? "অ্যাঁ? খোকা? আছে ভালো আছে? নিব ,অহন অনেক কাম তো, আইব একদিন, আইসা গাড়ীতে কইরা লইয়া যাইব একদিন, দেইখো বাজান" কথা আড়ষ্ট হয়ে আসে, চোখ পিটপিট করে, কুচকে যাওয়া চোখ দুটো চিকচিক করে ওঠে, আর ফেলে এক দীর্ঘশ্বাস। কথাগুলো সত্যি হবে না তিনিও জানেন, তবুও আশা করে মা, দোয়া করে মা। "             মা          " বৃদ্ধ হাত আর ভেজা চোখে তবুও কোন অভিশাপ নেই, তবু খোকা যেন সুখে থাকে। মায়েদের জন্য কোন দিবস হয় না, যে মা শুধু আমাদের ই জন্য হাজারো কষ্ট দাত কামড়ে সহ্য করেছে, সে মায়ের জন্য প্রতিটি দিন এক একটি মা দিবস। আসুন আজ প্রতিজ্ঞা করি, আর যেন কোন মা আমাদের শরীরে বিন্দু পরিমান রক্ত থাকতে অবহেলায় না থাকেন। প্রকৃত সন্ত...

কষ্টের কবিতা

Image
একটি কষ্টের কবিতা........ সুনন্দ, তোমারে ভাবিয়া কতই কাব্য রচনা করিয়াছি, সবার আড়ালে তোমার জন্য প্রেম সঞ্চয় করিয়াছি। তোমার দেওয়া কষ্ট গুলো বড্ড অসহায় ছিল সুনন্দ , তাই তাহাদের বক্ষ মাঝে ঠাঁই দিয়াছি। কষ্ট গুলো নিরবে আমার সত্তাকে প্রতি মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন করে দিত। সুনন্দ, প্রেম ছিল বলেই তোমার দেওয়া কষ্ট গুলি বক্ষ হইতে তাড়াইতে চাই নি। কারণ তোমার দেওয়া কষ্ট গুলিই আছে আমার নিকট; তোমার স্মৃতি হিসাবে। ভালো থেকো সুনন্দ। Courtesy : Momta Ayman

মধুর ভালবাসা

Image
মধুর ভালোবাসা...! স্বামী নামাযে দাঁড়িয়েছে। একটু পর স্ত্রীও হাতের কাজ শেষ করে এলো। ' দু’জনই নামায শেষ করলো। স্ত্রী স্বামীর হাতটা টেনে নিল। ' স্বামীর আঙুলের কড়ে গুনে গুনে কিছু একটা হিসেব কষতে শুরু করলো। ' স্বামী অবাক হয়ে জানতে চাইলো: -আমার আঙুলে কী গুনছো? -তাসবীহ পড়ছি! ' -তোমার আঙুলে পড়লে কী সমস্যা? -কোনও সমস্যা নেই, তবে আমার তাসবীহ পাঠের সওয়াবে যাতে তুমিও শরীক থাকো, সেজন্য এটা করছি! সুবহানাল্লহ! কি মধুর ভালোবাসা। আমি তোমাকে ভালোবাসি শুধু  মহান আল্লহ তা’য়ালা র  সন্তুষ্টির  জন্য  আমি চাই  মহান আল্লহ তা’য়ালা  তোমার সাথেই আমাকে  জান্নাতুল ফেরদৌস  দান করেন.... আমিন ইংশা আল্লহ প্রতিটি পরিবারে এমন প্রশান্তির ভালবাসা ছড়িয়ে পরুক।

মেয়েদের একাকিত্ব

Image
জীবনের কিছু একা সময়ে প্রতিটি মেয়েই হয়তো এ গানটির কথাগুলো খুব মিস করে। তার প্রিয় মানুষটিকে মিস করে, তার প্রিয় বাবাকে মিস করে....... কাটেনা সময় যখন আর কিছুতে  বনধুর টেলিফোনে মন বসেনা জানলার গ্রিলটাতে ঠেলায় মাথা মনে হয় বাবার মতো কেউ বলেনা আয় খুকু আয়,,,আয় খুকু আয়............ আয়রে আমার সাথে গান গেয়ে যা নতুন নতুন সুর নে শিখে নে কিছুই যখন ভালো লাগবেনা তোর পিয়ালায় বসে তুই বাজাবি রে আয় খুকু আয়,,,আয় খুকু আয়............ সিনেমে যখন চোখে জালা ধরায় গরম কফির মজা জুরিয়ে যায় কবিতার বই গুলো ছুরে ফেলি মনে হয় বাবা যদি বলতো আমায় আয় খুকু আয়,,,আয় খুকু আয়............ আয়রে আমার সাথে আয় এখুনি কোথাও ঘুরে আসি শহর খানি ছেলে বেলার মতো বায়না করে আজ থেকে নে না তুই আমায় কেরে আয় খুকু আয়,,,আয় খুকু আয়............ দোকানে আসি যখন সাজবো বলে খোপাটা বেধে নেই ঠান্ডা হাওয়ায় আরশিতে যখন এই চোখ পরে যায় মনে হয় বাবা যেনো বলছে আমায় আয় খুকু আয়,,আয় খুকু আয়............ আয়রে আমার কাছে আয় মামুনি সবার আগে আমি দেখি তোকে দেখি কেমন খোপা বেধেছিস তুই কেমন কাজল দিলি কালো চোখে আয় খুকু আয়,,,আয় খুকু আয়............

নারীর সতিত্ব

Image
সকল মেয়েদের বলছি........ যারা bf দের সব উজার করে দিয়েছ ,, আচ্ছা তোমার কি লজ্জা করেনা ?? তোমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে অবাধ মেলামেশা করে, বাসায় ফিরে সেই নষ্ট শরীর নিয়ে নিজের মা- বাবার সামনে দাঁড়াতে? ঘন্টার পর ঘন্টা আবাসিক হোটেলে অথবা বন্ধুর বাসায় মেলামেশায় ব্যস্ত থাকার পর কোন কারণে ব্রেকাপ হওয়ায় অবশেষে অপরিচিত একজনের সাথে যখন সেজে গুজে বিয়ের পিড়িতে বসো !! তখন একবারও কি লজ্জা লাগেনা, একবারও কি ভাবোনা, আমি কেন এত সাজুগুজু করছি, কি আছে আমার কাছে, আমি তো চরিত্রহীনা, আমি তো আমার স্বামীর হক নষ্ট করে ফেলেছি, আমি তো তাকে ঠকিয়ে ফেলছি !! একবারও কি মনে হয় না, কিসের এত আয়োজন ?? এই নষ্ট শরীরটাকে লাল কাপড়ে পেচিয়ে, সোনার হার/ বালা/ কানের দুল পরে বিয়ের আসর পার করে দিলেই কি তুমি নিজেকে সতী মেয়ে প্রমাণ করে ফেলছো !! . . জানি তখন তোমার বিবেকে নাড়া দিবে, তুমি চোখের জল ফেলবে এবং বলবে যে কেন আগে এসব করলাম । হয়তো স্বামীর কাছে অস্বীকার করে পার পেয়ে যাবে, হয়তো তোমার স্বামী সব বুঝেও কিছু জিজ্ঞেস করবে না, কারণ স্বামী মেনে নিতে বাধ্য, কিন্তু সারাটিজীবন তো কলংকের দাগ  থেকেই যাবে !! . . তাইতো ব...

চলাচল হোক সাবধানতায়

তামান্না তারিন লিখেছেন: "২৪ ঘন্টা লাগলো এই পোস্টটা লেখার মতো শক্তি সঞ্চয় করতে!! প্রতিটা মেয়ে এবং মা-বোন-বউ আছে এমন ছেলেরাও পড়বেন প্লীজ!! কখন কার জীবন বেঁচে যায় আমার এই স্ট্যাটাসটা দেখার সুবাদে- বলা যায়না!! শুধুমাত্র অস্বাভাবিক রকম শক্ত মনোবলের অধিকারি করে ছোটবেলা থেকে বড় করার কারনেই সম্ভবত আজকে আমি বেঁচে আছি এবং এই কথাগুলো লিখতে পারছি!! আচ্ছা, বাকি কথা পরে- আগে ঘটনা বলি- গতকাল রাত ৯টা, সিটি কলেজের পরের গলি, সম্ভবত ধানমন্ডি ৩/এ,যেখানে ভি.আই.পি বাসস্ট্যান্ড, ওই গলির মুখ থেকে রিক্সা নিলাম জিগাতলা যাবো বলে, যায়গাটা অনেকটা ফাঁকাই ছিলো!! তো যাই হোক, রিক্সা চলা শুরু করতেই একজন মধ্যবয়সী লোক এসে রিক্সা আটকে নিজেকে সিভিল পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে আইডি দেখালো আর রিক্সাওয়ালাকে থামতে আদেশ দিলো, রিক্সাওয়ালা তার কথামতোই কাজ করছিলো, যেহেতু সে পুলিশ বলে বেশ হম্ভিতম্ভি করছিলো!! তারপর আমাকে সে বলা শুরু করলো, ব্যাগ চেক করবে, আমি এই করেছি সেই করেছি নানা কথা!! যখনি দেখলাম তার অসংলগ্ন কম্পলেইন আমার নামে আমি বললাম ঠিক আছে, গাড়ি আনেন পুলিশের, বাকি কথা থানায় গিয়ে হবে, আমিও আমার গার্ডিয়ান কল দেই, সে ওই অবস্থা...

ভালবাসার সুখ

Image
গরমের মাঝে পিপাসা মেটাতে নির্ভেজাল ডাবের পানি খাচ্ছিলাম। এর মাঝে একটি নিষ্পাপ মেয়ের কিছু কথা কানে ভেসে আসলো...... ভাইজান আপনার ডাবের কিছু পানি আমাকে দেবেন, একটু খাইতাম। মেয়েটির চাওয়াতে এক অসীম মায়া জড়িয়ে ছিল। আমি মেয়েটির জন্য আরেকটি ডাব কিনলাম, আর আমার ক্লান্ত সময় টুকু মেয়েটির সাথে কাটালাম। এ ছোট্ট সময় টুকু আমার জীবনের অনেক বড় পাওয়া। জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি, তবে মেয়েটির মুখের হাসি ও সুখ গুলো আমার অনেক বড় পাওয়া গুলোকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ তেমাকে আমার পড়ন্ত বিকেল টিকে আনন্দে ভড়িয়ে তোলার জন্য। <3 সুখের জন্য অল্পই যথেষ্ঠ। কিছুটা সময় আর হাস্বোজ্জল স্বঙ্গ একটি মানুষকে সুখের সর্বোচ্চ জায়গায় নিয়ে যেতে পারে। সুখী হোক প্রতিটি আত্বা, প্রতিটি দেহ ও প্রতিটা সময়। আসুন নিজে সুখী হই, অপরকে সুখী করি। Courtesy : Arif Bhuiyan

আবেগ ও বাস্তবতা

Image
প্রায় দুই বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর মাস ছয়েক আগে যখন তারা দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করলো, আমরা বেশ এনজয় করেছিলাম । বন্ধুটি ACCA করে বেশ ভালো বেতনেই একটা কর্পোরেট জব করছে মতিঝিলে। মেয়েটি গ্রাজুয়েশনের শেষ পর্যায়ে । . দুই পরিবারের আর্থিক-সামাজিক অবস্থান, তাদের উপার্জন মিলিয়ে বেশ স্বাচ্ছন্দে কেটে যাবার কথা । বিয়ের কয়েক মাস পর্যন্ত বেশ আমোদেই কেটেছে ..... কিন্তু ইদানিং নাকি সম্পর্কটা সুতোর উপর ঝুলছে! . কারণ ..মেয়েটি 'এ্যাডজাস্ট' করতে পারছেনা !!!!!!! বন্ধুটি বেশ আক্ষেপ করে ফোনে আমাকে বলছিল - 'কোনদিন এই দিনটার কথা কল্পনাও করিনি। প্রেম করার দিন গুলোতে মনে হতো সারাজীবন একে অপরকে সহ্য করবার মত ভালোবাসাটুকু দু'জনার আছে। কিন্তু ... আজ মনে হচ্ছে আসলেই ''প্রেমের বিয়ে বেশিদিন টেকেনা" .....!!! . প্রেম'টা যতই গাঢ় হোক না কেন , তাতে একটা ফাঁক সবসময়ই থাকে । সেটা 'দেখনদারী' দিয়ে ঢেকে রাখা হয় । . কৃত্রিমতা দিয়ে 'বাস্তবতা' আড়াল করার চেষ্টা । . মেয়েটা কড়া মেকাপে সদ্য গজিয়ে ওঠা ব্রণগুলো ঢাকে। স্কিনের কালার উজ্জ্বল করে। বেছে বেছে সবচেয়ে ভালো...