বিয়ে পরবর্তী একটি হানিমুনের গল্প
কাজের সূত্রতায় ভাইটির সাথে প্রবাসেই পরিচয়। দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করার সুবাদে অনেক সখ্যতা তার সাথে। যাইহোক ভাইটি দেশে যাবেন তাই কাজের এখানে ছুটির জন্য বললেন। কাজের সূত্রে সেখানেই জানলাম বিষয়টা। জিজ্ঞাসা করলাম দেশে যেহেতু যাচ্ছেনই বিয়ে করেই আসবেন। মাথা নাড়িয়ে বললেন ইচ্ছে আছে বাকিটা আল্লাহ ভরসা। সময় পার হবার পরও ভাইটি লন্ডনে আসলেন না। কিছুদিন পর ভাইটির সাথে কাজের ওখানে দেখা হলো। বললাম এতো দেরি হলো কেন। বললেন বিয়ে করে স্ত্রীকে সময় দিতে গিয়ে টাইম বেশি লেগেছে। আগ্রহ করে জিজ্ঞাসা করলাম হানিমুন করতে কোথায় কোথায় গেলেন ভাবীকে নিয়ে। এরপরের উত্তর আমাদের অনেককে ভাবাবে।
ভাইটি বিয়ে পরবর্তী ঘুরতে তার স্ত্রীকে নিয়ে সৌদি-আরব গিয়েছিলেন ওমরাহ করতে। আর কিছু জিজ্ঞাসা করার সাহস হলো না। এতক্ষন যা বললাম এটাও কোনো কল্প কাহিনী নয় বর্তমান সময়ে এই যুগেরই বিয়ে পরবর্তী একটি হানিমুনের গল্প। নিজেদের অবস্থার কথা একবার চিন্তা করে একাকী জিজ্ঞাসা করেন তো এরকম বিষয়গুলো কখনো পরিকল্পনা করেছেন কিনা অথবা জানেন কিনা।
বিয়ে কিন্তু কোন সামাজিক উৎসবের নাম নয়, এটি সালাত সিয়ামের মতোই একটি ইবাদাত। তাই এই ইবাদাতকে সেভাবে পালন করতে হবে যেভাবে আল্লাহ্ হুকুম করেছেন ও রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দেখিয়ে গিয়েছেন। তথাকথিত সামাজিকতার দোহাই দিয়ে জাহিলিয়াতের চরম পর্যায়ে উন্নীত হয়ে বিভিন্ন হিন্দুয়ানী সংস্কৃতিকে আমদানি এবং হানিমুনের নামে নেপাল, কক্সবাজার, সিংগাপুর, যেয়ে যা করা হয় তাকে আর যা বলা হোক না কেন ইবাদাত বলার প্রশ্নই উঠে না।
দুনিয়াতে মানুষের বাহবা পাওয়ার জন্য, আত্মীয়স্বজন কী বলবে, অমুকে কী বলবে ইত্যাদি অজুহাতে যারা আল্লাহর বিধানের অবাধ্য হন তাদের ভেবে দেখা উচিত আমরা যাদের খুশির জন্য এসব করছি কাল হাশরের ময়দানে তারা আমাদের কোন উপকারে আসবে কিনা?
যাদের দাম্পত্য জীবনের শুরু হয় নামাজের মাধ্যমে, স্ত্রীকে নিয়ে প্রথম কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় ওমরাহ পালনের মাধ্যমে সেই দাম্পত্য জীবনে বরকত আর শান্তি আল্লাহ পাঁক দিবেন না তো কাকে দিবেন।
সিদ্ধান্ত এখন আপনার আপনি কি করবেন.....?
Courtesy : Jubair Bin Jahangir
ভাইটি বিয়ে পরবর্তী ঘুরতে তার স্ত্রীকে নিয়ে সৌদি-আরব গিয়েছিলেন ওমরাহ করতে। আর কিছু জিজ্ঞাসা করার সাহস হলো না। এতক্ষন যা বললাম এটাও কোনো কল্প কাহিনী নয় বর্তমান সময়ে এই যুগেরই বিয়ে পরবর্তী একটি হানিমুনের গল্প। নিজেদের অবস্থার কথা একবার চিন্তা করে একাকী জিজ্ঞাসা করেন তো এরকম বিষয়গুলো কখনো পরিকল্পনা করেছেন কিনা অথবা জানেন কিনা।
বিয়ে কিন্তু কোন সামাজিক উৎসবের নাম নয়, এটি সালাত সিয়ামের মতোই একটি ইবাদাত। তাই এই ইবাদাতকে সেভাবে পালন করতে হবে যেভাবে আল্লাহ্ হুকুম করেছেন ও রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দেখিয়ে গিয়েছেন। তথাকথিত সামাজিকতার দোহাই দিয়ে জাহিলিয়াতের চরম পর্যায়ে উন্নীত হয়ে বিভিন্ন হিন্দুয়ানী সংস্কৃতিকে আমদানি এবং হানিমুনের নামে নেপাল, কক্সবাজার, সিংগাপুর, যেয়ে যা করা হয় তাকে আর যা বলা হোক না কেন ইবাদাত বলার প্রশ্নই উঠে না।
দুনিয়াতে মানুষের বাহবা পাওয়ার জন্য, আত্মীয়স্বজন কী বলবে, অমুকে কী বলবে ইত্যাদি অজুহাতে যারা আল্লাহর বিধানের অবাধ্য হন তাদের ভেবে দেখা উচিত আমরা যাদের খুশির জন্য এসব করছি কাল হাশরের ময়দানে তারা আমাদের কোন উপকারে আসবে কিনা?
যাদের দাম্পত্য জীবনের শুরু হয় নামাজের মাধ্যমে, স্ত্রীকে নিয়ে প্রথম কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় ওমরাহ পালনের মাধ্যমে সেই দাম্পত্য জীবনে বরকত আর শান্তি আল্লাহ পাঁক দিবেন না তো কাকে দিবেন।
সিদ্ধান্ত এখন আপনার আপনি কি করবেন.....?
Courtesy : Jubair Bin Jahangir
Comments
Post a Comment