Posts

Showing posts from April, 2017

বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা

Image
একটা ছেলে আর একটা মেয়ে কখনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু হইতে পারে না। (দুইএকটা এক্সসেপশনাল কেস তো থাকবেই।) ঘনিষ্ঠতা বাড়তে বাড়তে, একটা সময় সেটা সেক্সুয়াল দিকেই ধাবিত হবেই!! কোন না কোন ভাবে কামনা বাসনা চলে আসবেই, যে কোন পক্ষের। হয়ত ভদ্রতা লোকলাজের খাতিরে, তারা গোপনীয়তা বজায় রাখে, রাখবে। অনেকে শুধু বন্ধুত্ব হারানোর ভয়েই, সাধু সেজে মনে মনে, আম জাম লিচু রসমালাই খায়। আসলে, সুযোগের অভাবে অনেকেই সৎ। বিলিভ ইট অর নট, ম্যাক্সিমাম ছেলেরা তাদের পরিচিত বান্ধবীদের নিয়েই কিন্তু ফ্যান্টাসি করে, যখন একাকি থাকে!!!!  ইটস রিয়েলিটি। অস্বীকার করলে করার কিচ্ছু নাই। মানুষের শরীর মন বড়ই বেয়াদব, বড়ই হারামী। আর সবচেয়ে বেশী শারিরীক সম্পর্ক হয়, আত্নীয়স্বজন & বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে। কারন এরা সহজেই কাছে আসার সুযোগ পায়, আর অন্যেরা সন্দেহ ও করতে পারেনা। সাবধানে থাকুন, কাছাকাছি নয়, নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে, সুস্থ স্বাভাবিক থাকুন।

মজার ছলে গীবত

Image
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভিডিও এর কথা বের হয়। সত্য মিথ্যা যেটাই হোক প্রতিবার আমি অবাক হয়ে যাই!  নাহ ভিডিওর জন্য না, অবাক হই ছেলেদের স্ট্যাটাস দেখে। কতটা অবিবেচক, বিবেকহীন  বলদের এর মত তারা এই ভিডিও গুলোর লিংক শেয়ার দেয়!! নইলে স্ট্যাটাস দেয় মেয়েটার নামে! কাজটা কিন্তু একই হল। এতটা বিবেকহীন মানুষ কিভাবে হয়!!!! এটা আপনার বোনের বা বান্ধবীর ভিডিও হলেও কি শেয়ার দিতেন এভাবেই?? ওহ না আপনার বোন তো এমন করতে পারেনা! আর যারা করছে তারা খুব পাপ করছে তাইনা! তা ভাই আপনি শেয়ার দিয়ে কোন পুণ্য টা কামাচ্ছেন!! ভিডিও তে তো ছেলেরাও থাকে তাহলে ভিডিও এর নাম শুধু মেয়েদের নামেই হয় কেন! আজ যদি আপনি শেয়ার না দিতেন,  নাম নিয়ে স্ট্যাটাস না দিতেন তাহলে অন্তত ১০ টা মানুষ কম জানত। মেয়েটার বদনামি কম হতো, কারন নিশ্চয়ই ভিডিও লিক মেয়েটা করেনি! কি লাভ শেয়ার করে মেয়েটার বদনামি বাড়িয়ে! যদি সুইসাইড করে!  তার ভুল শোধরানোর সুযোগ টা কি আমরা দিচ্ছি? যদি লিংক পেয়েও ডিলেট করে দিতেন, ব্যাপার টা গোপন রাখেন তাহলে কি নিজের প্রতি সম্মান টা বাড়ে না! একটু ভাবুন না ভাইয়া!  নিজের অজান্তেই আপনি কি করছেন! আপ...

ভালবাসার কবিতা

Image
যে আপনাকে এড়িয়ে যায়, তাকে আপনিও এড়িয়ে যান।😒 হাতটা শুধু তাকেই বাড়ান যে আপনার পানে হাত বাড়ায়...🌹

আমি মোটা

Image
আমি মোটা, দেখতে হয়তো অনেকটা অড লাগে, সবখানে কতই না কথা শুনতে হয়, কষ্ট হয় কিন্তু মুখ বুজে কেটে যাই,কারন আমি মোটা... সৌন্দর্য, কিইটনেস ধুয়ে কি পানি খায়? কিউটনেসের বড়াই করে লাভ নাই, করি না, কেনই বা করবো আমি যে মোটা... ছোটবেলায় অনেক গুলুগুলু ছিলাম, মানুষ অনেক আদর করতো, কিন্তু বয়সের সাথে সাথে যেন কারো চোখের বিষে পরিনত হতে হয়, কিছুই করার নাই বুঝতে হবে আমি মোটা.... একটু বড় হতেই বুঝলাম অন্য সবার মত অতিরিক্ত ঢং আমাকে মানায় না, স্লিম একটা মেয়ে নাচবে গাইবে লাফালাফি করবে তাকে হেব্বি লাগবে, সে জিনস টপস পড়ে বের হবে তাকে সেক্সি লাগবে, ঐসব মেয়েদের দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যাবে, কিন্তু আমি এইসব কেন করবো, আমাকে কি মানাবে? নাহ্ মোটা মেয়েরা এইসব করলে বা পড়লে দুনিয়া তাকে দেখেই নাক সিটকাবে, আল্লাহ কি বিচ্ছিরি লাগছে! লাগবেই তো আমি যে মোটা, শরীরের ভাজ দেখতে কারই বা ভালো লাগবে... সবাই খাবারের ওপর থাকলে মানা যায়, কিন্তু একটা মোটা মেয়ে কিভাবে এত খায়, খেয়ে খেয়েই এই অবস্থা, ছিঃ... ঘুম, এত কেন ঘুমাবে? এমনিতেই এত মোটা ওকে দিয়ে বেশি পরিশ্রম করাতে হবে, ঘরের কাজ করাবেন তাইলে একটু কাজে দিতে পারে, এইসব শুনে অভ্যস্ত হত...

মায়াজাল বনাম বাস্তবতা

শিক্ষনীয়_পোষ্টঃ একফোঁটা মধু মাটিতে পরে আছে! পাশ দিয়ে ছোট্ট একটি পিঁপড়া যাচ্ছিলো। মধুর ঘ্রান নাকে ঢুকতেই থমকে দাঁড়ালো। ভাবলো একটু মধু খেয়ে নেই,তারপর না হয় সামনে যাবো।এক চুমুক খেলো,,,,,,,, বাহ্,,,খুব মজাতো,আরেকটু খেয়ে নেই! আরেক চুমুক খেলো। তারপর সামনে চলতে লাগলো! হাটতে হাটতে ঠোঁটে লেগে থাকা মধু চেটে খাচ্ছিলো।ভাবলো, এতো মজার মধু আরেকটু খেয়ে নিলে কি হয়??? আবার পিছনে ফিরলো,পূর্বে নিচে থেকে খেয়ে ছিলো।ভাবলো,নিচের মধু এতো মজা উপরের টা হয়তো আরো মজা হবে।তাই,আস্তে আস্তে বেয়ে বেয়ে মধুর ফোঁটার উপরে উঠে গেলো। বসে বসে আরামছে মধু খাচ্ছে।খেতে খেতে এক পর্যায়ে পেট ফুলে গেলো। ঐ দিকে পা দুটো নিজের অজান্তে আস্তে আস্তে মধুর ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে। তখনই হঠাৎ পায়ের দিকে নজর পড়লো তার। কিন্তু ততহ্মনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। মধু থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে আপ্রান চেষ্টা করতে লাগলো। কিন্তু নাহ্,,,,,মধুতে তার সমস্ত শরীর মাখামাখি অবস্থা।অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে আর উদ্ধার করতে সহ্মম হলো না।।।। নাকে মুখে মধু ঢুকে দম বন্ধ হয়ে যেতে লাগলো। অবশেষে,পিঁপড়াটি মধুর ভিতর আটকে পড়ে...

আমার জীবনপথ

Image
আমি জীবনে আনন্দ অনেক কম করেছি। চাকুরী জীবনের শুরু থেকে পরিবার, বাবা, মা, আত্মীয়তা ও বন্ধু দের এবং মানুষের পাশে থেকে নিঃস্ব হয়েছি। বিপদে কাউকে সত্যিকার নিঃশর্ত ভাবে পাশে পাই নি। পরিবার ,আত্মীয়স্বজন আমাকে ব্যবহার করেছে। সমর্থন ও সা্হস দেয় নি। মা, বাবা অন্যদের প্ররোচনায় বা নিজেদের বিবেচনায় অনেক আদেশ করেছেন যা পালন করতে গিয়ে আমি বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। তবে এটা সত্য মা, বাবার আদেশ পালন কারী সন্তান কে আল্লাহ দেখেন। বাবা ডাক্তার বানিয়ছেন। উনি চেষ্টা করেছেন আমাকে মানুষ  বানাতে। কিন্তু কর্মজীবনে সবাই সমস্যা দিয়েছে। আর্থিক ও মানষিক ভাবে পংগু করেছে। আজ আমি বার্ধ্যকে এসে প্রচন্ড একাকী ও মানষিক চাপে থাকি। আর্থিক ভাবে দেউলিয়া। এর জন্য আমি দায়ী। আমি বাস্তবতা বুঝি নি। আমি উপলব্ধি করেছি স্ত্রী ও সন্তানদের আরো সময় দেয়া উচিৎ  ছিল। তাদের অনেক প্রয়োজন পূরন না করাটা অনেক বড় ভুল ছিল। মধ্যবিত্ত পরিবারে হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা অন্য একটি পরিবার কে ধংস করে দেয়। চাকুরী জীবনে মাত্রাতীত সিন্সিয়ার হলে জীবনে আপনি কষ্ট পাবেন ;অন্তত বাংলাদেশে হতাশাগ্রস্থ হবেন। তারপর ও আমি আশা ন...

মৃত্যু দিয়ে প্রতিশোধ

Image
#এক_মৃতার_ডায়েরি #অর্পিতা_চন্দ্র (১৫ই জানুয়ারি, ২০১৭) আজ তোমার আসল রূপটা দেখলাম। দেখে যে অবাক হইনি সেটা বলা ভুল হবে, কিন্তু কিছুটা এরকমই আশা করেছিলাম। আজ পাঁচ মাসও হয়নি আমাদের বিয়ের আর তুমি আমার গায়ে হাত তুললে তোমার মায়ের কথায়। আজ নিজের উপর খুব অভিমান হচ্ছে, বাবা কতবার বারণ করেছিল তোমাকে বিয়ে না করতে, আমি শুনিনি, কারণ আমি যে তোমার মিথ্যা ভালোবাসা টাকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম। ভেবেছিলাম আমার ছোট ছোট স্বপ্ন গুলোকে দুজনে মিলে পূরণ করব। নাহ্,স্বপ্ন গুলো সত্যি হওয়া অনেক দূর সেগুলো আরও টুকরো হয়ে নিঃস্ব করে দিয়েছে আমাকে। (২০ জানুয়ারি, ২০১৭) আজ আরও একবার, আরও একবার আমার গায়ে হাত তুলেছ তুমি। আমি সেই আগের 'তুমি'র সাথে এই 'তুমি'কে বড্ড বেশি গুলিয়ে ফেলছি জানো। তোমার মধ্যে কি আমার জন্য এতটুকু ভালোবাসা জন্মায়নি! যা ছিল সবই কি নাটক! জানি এত প্রশ্ন করে আজ আর কোনো লাভ নেই, আমি যে আজ নিজের কাছেই নিজে মুখ লুকাতে লজ্জা বোধ করছি।  (৩০শে জানুয়ারি, ২০১৭) আবার আবার, আজ আবার। কিন্তু, আজ বোধহয় আমি হেরে গেলাম সত্যি করে। এতদিন তোমার প্রতিদিনের মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে অকথ্য ভাষ...

নারী ও মানুষ

Image
আপনার স্বামী আপনার গায়ে হাত তুললেই শুধু "নারী নির্যাতন" হয় না; আপনি যখন আপনার বাসার কাজের মেয়েটার গালে চড় বসান "নারী নির্যাতন" তখনও হয়! বাংলাদেশের নির্যাতিতা গৃহকর্মীদের ৮৫% গৃহকর্ত্রী দ্বারা নির্যাতনের শিকার। শুধু পুরুষরা "নারী নির্যাতন" করা বন্ধ করলেই নারী নির্যাতন একটা বিলুপ্তপ্রায় শব্দে পরিণত হবে না। নারীদেরকেও নারী নির্যাতন করা বন্ধ করতে হবে। আপনার সন্তানকে - শুধু "নারী" নয় "মানুষকে" নির্যাতন না করার শিক্ষা দিন আপনার সন্তানকে -শুধু নারী নয় "মানুষকে" শ্রদ্ধা করার শিক্ষা দিন (মেয়েদের কাছে সাধু সাজতে যেয়ে কিংবা ভাইয়াটা "totally different" এই কথাটি শুনতে চেয়ে-  নারী অধিকার রক্ষায় অতি উৎসাহী উঠতি সেলিব্রেটি পোলাপাইন; যারা বিনা বাক্যে সব পুরুষকে নির্যাতনকারী বলে মেনে নিতে রাজী, নিঃসন্দেহে তারা অতীতের একের অধিক নারী নির্যাতনের নায়ক)

ম্যাশের জন্য ভালবাসা

Image
প্রিয় মাশরাফি বিন মর্তুজা, অনেক হয়েছে। যথেষ্ট হয়েছে। এবার থামেন। শেষ ম্যাচটা খেলে দেশে আসুন, তারপর ওয়ানডে থেকেও অবসর নিন। দেশের ক্রিকেটকে পুরোপুরি গুডবাই বলে ব্যবসায় নেমে পড়ুন। কিংবা দামী বিদেশী লীগ খেলতে যান কিংবা সম্ভব হলে একেবারেই দেশ ছেড়ে বাইরে চলে যান। প্রিয় মাশরাফি, আমি আপনার ভক্ত। ভক্তের স্কেল মাপলে উপরের সারিরই ভক্ত হবো। তাও আমি আর আপনাকে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেখতে চাই না। দেখতে চাই না আমার প্রিয় মানুষটা খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছেড়ে যাচ্ছে। আপনি কাদের জন্য খেলবেন, কেন ই বা খেলবেন? আপনি বারবার দেশপ্রেমের প্রসঙ্গ তুলেন। যে কোন কিছুতেই আপনি দেশপ্রেম টেনে নিয়ে আসেন। আমরা যারা ক্রিকেটের এক দশকের দর্শক, আমরা জানি আপনার দেশপ্রেম হঠাৎ করেই চলে আসা কোন আবেগ নয়। আপনি সেই ২০০৩ সালে কিশোর বয়সে কানাডার সাথে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় কান্না করেছিলেন। এমনকি তার অনেক সময় পরেও যখন নিজের প্রথম ওভার করতে এলেন তখনো আপনার চোখভর্তি জল। আবেগ সামলাতে না পেরে প্রথম বলটা করলেন পীচের বাইরে দিয়ে। আপনি লিখেছেন সে কথা, আমরা পড়েছি, বিস্মিত হয়েছি, আপ্লুত হয়েছি। আহা দেশপ্রেম! আহ...

আমরা শোকাহত

Image
মুস্তাফিজের মত কাটার দিতে পারেন না :/ পারেন না এখন আর তাসকিনের মত গতির ঝড় উঠাতে :( রুবেলের মত ইয়োর্কার দিয়ে "ভাইঙ্গা" দিতে পারেন না :) কিন্তু তিনি যা পারেন তা পারে না পৃথিবীর অন্য কোনো ক্রিকেটার :o হাঁটুতে আট আটটা মেজর অপারেশন এর পরেও ৩৪ বছর বয়সী একজন মানুষ কিভাবে এত পরিশ্রম করতে পারে??? সে কি মানুষ? হ্যাঁ, মানুষ বলেই সম্ভব। কারন মানুষেরই আছে প্রচন্ড ইচ্ছা শক্তি। এখনো দলে টিকে আছেন শুধুমাত্র মানুষের আবেগের কারনে নয়, অধিনায়ত্বের কারনে নয় :) পারর্ফম করেই তিনি টিকে আছেন ^_^ এখনো কেউ তার পারর্ফন্সের দিকে আঙুল তুলে কথা বলতে পারেন নি :* কিভাবে সম্ভব? প্রচন্ড ইচ্ছা শক্তি, পরিশ্রম, আর আবেগ। এই তিন মিলে মাশরাফি বিন মর্তুজা <3 . কি বোলিং, কি ফিল্ডিং, কি অধিনায়কত্ব ... সবসময় সামনে থেকে আগ্রাসী নেতৃত্ব :o তিনি মাঠে থাকা মানেই সবার শরীরের ভাষায় পরিবর্তন :D তিনি ড্রেসিং রুমে থাকা মানেই সবার মানসিকতায় পরিবর্তন :) তিনি থাকলেই সব বিতর্ক পিছনে ফেলে বাংলাদেশ হয়ে যায় অপ্রতিরোধ্য এক টিম <3 হয়ে যায় বিশ্বের অন্যতম সেরা শক্তি। . তাইতো বলতে ইচ্ছে হয়, "আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখি...

হতাশা বনাম চেষ্টা

Image
ইন্সপাইরেশন আমাদের আশে পাশেই আছে। শুধু দরকার একটু খানি ইচ্ছা.... তেমন একটি বাস্তব গল্প আজ তুলে ধরা হলো। তিন প্রফেই প্রথম হওয়া তো দূরের কথা, আমার তো ডাক্তার হবারই কথা ছিলনা! আমি বরাবরই ছিলাম অংক পাগল। ইঞ্জিনিয়ার হওয়াই ছিল জীবনের লক্ষ্য। বুয়েটে ভর্তির জন্যই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাও দিলাম, আর অবাক করা ব্যাপার কিভাবে যেন ডিএমসিতে চান্স পেয়ে গেলাম। এই ঘটনার পরই মূলত মা বাবার ইচ্ছাতেই ডাক্তারি পড়া। আমাকে বলা হল, পরিবারে কোন ডাক্তার নাই, তো আমিই কেন না বংশের প্রথম ডাক্তার হই? ডিএমসিতে আসার পর প্রথম প্রথম খুবই কষ্ট হত। যেহেতু ডাক্তারি পড়ার কোন পরিকল্পনা ছিলনা, ভালই সমস্যায় পরলাম। ম্যাথ অনেক মিস করতাম। পরিস্থিতি পাল্টালো আমার প্রথম কার্ড পরীক্ষার রেসাল্টের পর। এই পরীক্ষার ভাল ফলাফলই ডাক্তারির প্রতি আমার আগ্রহ বাড়িয়ে তুললো। তৃতীয় বর্ষে ওঠার পর আমি মেডিকেলের প্রকৃত আনন্দ পেতে শুরু করলাম। আমার ক্লিনিকাল পড়াশোনা শুরু হয় মেডিসিন দিয়ে এবং আমার প্লেসমেন্ট হয় খান আবুল কালাম আজাদ স্যারের ওয়ার্ডে। তিনি আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দিতেন। মূলত ওনার কারণেই মেডিসিনের ...

ছোট্ট মামনীর থেকেও শেখার আছে

Image
রাত গভীর হয়ে আসছে..... হটাৎ হু হু হু করে একটি শব্দ ভেসে আসলো. হু হু হুক্কা হুয়া..... সাথে সাথেই পুরো জঙ্গল শব্দে ভেসে যাচ্ছে। গভীর রাতে এমন শব্দে ঘুম ভেঙে গেলো ছোট্ট মামনী ফাতিমা বিনতে মুহাম্মাদ এর। ফাতিমা ভয়ে জরোসরো হয়ে মাকে জড়িয়ে ধরলো, মামনীর এমন জড়িয়ে ধরাতে মারো ঘুম ভেঙে গেলো।  কি হয়েছে মামনী ভয় পেয়েছো??? হ্যা মা, কি যেন ডাকছে, হটাৎ একটি ডাক হলো, এখন সবাই মিলে ডাকছে। ভয় পেয়ো না মামনী, এটা শিয়ালের ডাক, শিয়াল রাতের পশু। শিয়ালের বৈশিষ্ট একজন ডাকলে সবাই মিলে ডাকে। আচ্ছা মা এটা কি শুধু শিয়ালের বৈশিষ্ট??? হ্যা মামনী শিয়াল ছাড়া অন্য কাউকে তো দেখিনি, একামত্র শিয়াল ই একজনের ডাক শুনলে বাকি সবাই ডেকে ওঠে। শিয়াল দেখতে কেমন মা??? তারা কি আমাদের মতোই দেখতে??? না মামনী.. শিয়াল দেখতে কুকুরের মতো, কিন্তু তার লেজ টি উপরে না থেকে নিচের দিকে থাকে। কিন্ত মা সেদিন একটি পিকনিকের বাস দেখালে মনে আছে!!! সে বাসে কে যেন জোরে জোরে শব্দ করে কি কি ডাক দিচ্ছিলো, সাথে সাথে সে বাসের সবাই একই সুরে ডাক দিচ্ছিলো। তুমি আমাকে কান বন্ধ করতে বলেছিলে। কেন আমাদের পাশের বাড়িতে বিয়ে হচ্ছিলো মনে নেই তোমার??? এক...

একজন বোকা সত্যবাদীর গল্প

Image
আমি পলাশ আমার সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে আমি বোকা ও আমি মিথ্যা বলতে পারি না। কিছুদিন আগে একজন মহিলা ভিক্ষুক আমাকে ভাড়া করেছিল তার অন্ধ ছেলে হিসেবে অভিনয় করার জন্য। আমাদের কাজ হবে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুড়ে ঘুড়ে খাবারের জন্য টাকা জোগাড় করা। সে বললো দিন শেষে আমার অভিনয়ের জন্য আমাকে ৫০ টাকা ও খাবার দেয়া হবে। তাই আমি সুন্দর করে অভিনয় করে দেখাতে লাগলাম, সে আমার অসাধারন অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলেন। তারপর আমরা আমাদের অভিযানে বের হয়ে পড়লাম। প্রথম এক ঘন্টা খুভ ভাল ভাবেই চলছিল, কিন্তু যখন আমরা একটি গাড়ির জানালার কাছে গেলাম, তখন একজন সন্তান কোলে মেম  সাহেব আমাকে কিছু টাকা দিচ্ছিলেন। আমি দেখতে পেলাম তার ছেলেটি একটি খেলনা গাড়ি নিয়ে খেলা করছে। তখন আমি মেডাম কে বললাম 'মেডাম আমি একজন অন্ধ ছেলে, আমার কোন খেলনা নেই, আমাকে কি টাকার বদলে আপনার ছেলের লাল খেলনা গাড়িটা দেবেন??? মেডাম যখন টাকার বদলে গাড়িটা দিতে যাবেন তখন ই  গাড়ির ড্রাইভার আমাকে তাড়া করলেন। আমি বুঝে উঠতেই নকল ভিক্ষুক মাকে রেখে জীবন নিয়ে দৌড়ে পালাই.......

চাকুরিজীবী মা!

I miss you mam! ______________ ঘটনা ১। আমার আপুর (কাজিন) পাশের ফ্লাটের ঘটনা। ভদ্রলোক আর্মি অফিসার আর উনার ওয়াইফ ডাক্তার। সকাল হলে দুজনেই যার যার কাজে বেরিয়ে পড়েন। আপুর রান্নাঘর থেকে উনাদের রান্নাঘর দেখা যায়। কোলের বাচ্চাকে বুয়ার কাছে রেখে উনারা চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই বাচ্চাটা প্রচন্ড কাঁদতে থাকে। এটা প্রতিদিনের ঘটনা। একদিন বাচ্চাটা খুব কাঁদছিল। আপু রান্না ঘরে গিয়ে দেখে ওই বাসার রান্নাঘরের হাউজের মধ্যে বাচ্চাটাকে রেখে বুয়া ট্যাপ ছেড়ে দিয়েছে। আর বাচ্চাটা কাঁদছে। আপু, তাড়াতাড়ি করে বাসায় গিয়ে কলিংবেল দেয়। অনেকক্ষণ পর বুয়া দরজা খোলে, কোলে বাচ্চা। সারা গা ভেজা। আপু এসব ঘটনা বাচ্চার মাকে জানানোর পর উনি কি বলেছিলেন জানেন? “থাক ভাবী, এসব শুনবনা, এসব কথা আমলে নিলে কি আর চাকরী করতে পারব !” . ঘটনা ২। এক মহিলার স্বামী বিরাট ধনী। বিশাল এরিয়ার উপর বাড়ি। তারপরও বউ শখের বশে চাকরী করে, আড়াই বছরের বাচ্চাটা থাকে কাজের মেয়ের কাছে। একদিন বাচ্চাটা খেলছে, আর কাজের মেয়ে এর মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছে। ঘুম থেকে উঠে দেখে বাচ্চা নাই। সারা বাড়ি, আত্নীয় স্বজন প্রতিবেশিদের কাছে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তাকে পাওয়া...

ছোট ইনভেস্ট বনাম বড় প্রাপ্তি

Image
আমি যেখানে থাকি সেখানে সূর্যের তেজ বেশি! কাপড় ধুয়ে রোদে দিলে শুকাতে ৫ মিনিট লাগে! গত ২৬ বছরে কোনদিন লোশন দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি নাই। এইখানে সপ্তাহে ১টা লোশন গায়ে মাখা লাগে !! আম্মা আসার সময় ব্যাগে একটা সান ব্লক লোশন ভরে দিছে! লোশনের গায়ে আম্মার ওয়ার্নিং ট্যাগ মারা – “ ভুত হয়ে ঘরে ফিরলে এই ঘরে ভাত নাই ” আমি ভাতের মায়ায় দিনে দুইবার লোশন মাখি। এতে আমার ত্বকের কি ঘোড়ার ডিম হয় খোদা জানেন। আমার বিয়ে সামনে! কত সামনে সেইটাও খোদা জানেন। বিয়ের বাজারে কালো পাত্রের দাম কম। আমি বাজার মূল্য ঠিক রাখতে বাইরে বের হলে সান ক্যাপ পড়ি। এতে আমার স্কিন সূর্য মামার রক্ত চক্ষু অভিশাপ থেকে মুক্তি পায়। এখানে সবাই লাদেন আঙ্কেলের মত মুখে কাপড় বেঁধে হাটে। আমি একদিন মুখে কাপড় না বেঁধেই বের হলাম... ফিরে এসে আবিস্কার করলাম আমাকে দেখতে কারেন্টের তারে শক খেয়ে পুড়ে যাওয়া উদ্ভ্রান্ত,নিঃস্ব, পথ ভ্রষ্ট চড়ুই পাখির মত লাগছে! চামড়া বাঁচাতে আমি আবার কাপড় থেরাপিতে ফিরে গেলাম। আর সবার মত লাদেন স্টাইলে মুখে কাপড় বেঁধে হাঁটাহাটি আর কি... স্কিনে সান ব্লক, মুখে কাপড় আর মাথায় সান ক্যাপ পড়ে চামড়া বাঁচানোর কি ভয়া...

বাবা ও তার সুখি সন্তান

Image
ছুটির দিনে বাবার গাড়িতে রাজকন্যার ভ্রমণ..... রাজকন্যা তার বাবার গাড়িতে বসে খুশিতে বাগ বাকুম করছে। বাবার গাড়িটি এসি করা কোন দামি গাড়ি নয়, তবু ছোট্ট রাজকন্যাটির মনের দুঃখ বাবার অসীম ভালবাসার কাছে হার মেনেছে। তার মুখে যে হাসি ফুটেছে তা ভালবাসা ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে জয় করার মতো নয়। বাবা আজ রোজগারের জন্য নয়, শুধু মাত্র তার রাজকন্যার জন্যই নিজের পুরো দিন টিকে উৎস্বর্গ করেছে, রাজকন্যা কি খুশি না হয়ে পারে??? অনেক বাবার ঘরেই এমন রাজকন্যা ও রাজপুত্রের বাসস্থান। তবে সবাই কি এমন হাসতে পারে??? সব বাবাই কি তার রাজকন্যা ও রাজপুত্র কে এমন হাসাতে পারে??? সন্তানকে খুশি করতে শুধু বাহ্যিক চাহিদা পুরন করলেই হয় না, সাথে যে মনের চাহিদা টাও পুরন করতে হয়। মাঝে মাঝে তাকে নিজের একান্ত কিছু সময় বিলিয়ে দিতে হয়। বাবা মার চাইতে একটি সন্তানের বড় বন্ধু আর কে হতে পারে??? সকল বাবা মা কে বলছি...... চলুন ছুটির দিন গুলোতে সন্তানদের সাথে একটু একান্ত ভাবে কাটই। সন্তানের মুখে হাসি টাই তো একজন প্রকৃত বাবা মার কাম্য হওয়া উচিত।

সুখ কি???

Image
টাকা সুখকে কিনতে পারে না... এটা খুবই সহজ কারো মুখে সুখের হাসি ফোটানো... সে শুধু আমার গ্র্যাজুয়েশন ক্যাপ টা পড়তে চেয়েছিল🎓🎓🎓🎓🎓🎓 সে আমার পুরো দিন টাকে ভালবাসায় ❤❤❤❤❤ পরিপূর্ণ করেছে Money can't buy happiness... It's very easy to make someone smile.. All she wanted is to wear my graduation cap 🎓🎓🎓🎓🎓🎓 She made my day ❤❤❤❤❤

মায়ের ভালবাসা চির অমর হয়ে থাকুক.....

Image
আমিও এক সময় এইরকমই ছোট্ট ছিলাম। আমার মা'ও আমাকে ঠিক এই ভাবেই আদর দিতেন। আমার মনে নেই সে'কথা। মা'র কিন্তু মনে আছে। আমি জানি মা'র মনে আছে। বুড়ো হয়ে গেছে মা। ধীরে ধীরে অচল হয়ে যাচ্ছে শরীর। নিজের বাস্তবতা সামলিয়ে প্রতিদিন মা'র খোঁজও নেয়া হয়না। মা হয়তো মনে করেন আমার কথা, আমাদের সব ভাই বোনের কথা। তার হয়তো কখনো এক চিলতে হাসি আসে, আবার কখনো চোখের কোনে এক বিন্দু জল? মা, বলা হয়না তোমাকে, আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি।  Once I was a tiny toddler like this one. Although I don't have any memory of that time, I know my mother cuddled me like this, too. But my mother remembers. She is getting old, with life becoming a burden rather than a gift. And I am getting busier everyday, with little time to talk to her, to inquire about her health and wellness. I am pretty sure she always remembers us - all her kids. Maybe that brings good memories to her, maybe she sheds tears. Mom, I love you. A lot.