রামাদানুল মোবারাক

রোযা এমন একটি ইবাদত যার প্রতিদান মহান আল্লাহ তায়ালা নিজেই রোযাদারকে দিবেন। রোযা শুরুর পূর্বে পবিত্র কোরআন ও হাদীসে রোযা সম্পর্কে বলা হয়েছে এমন কয়েকটি বানী হলোঃ

১। "হে ঈমানদার গণ! তোমাদের ওপর রোযা ফরয করে দেয়া হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী নবীদের অনুসারীদের ওপর ফরয করা হয়েছিল ৷ এ থেকে আশা করা যায়, তোমাদের মধ্যে তাকওয়ার গুণাবলী সৃষ্টি হয়ে যাবে৷"
সূরা বাকারা- ১৮৩

২। আবু হুরাইরাহ (রা.) বলেন, আল্লাহ্‌র রসূল [সাঃ] বলেছেন, “যখন রামাদ্বান মাস আগমন করে, তখন আসমানের দরজাসমূহ খোলা হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বদ্ধ করা হয় এবং শয়তানগুলো শৃংখলাবদ্ধ হয়।”
সহীহ আল-বুখারী, হাদীস ১৮০০

৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) অথবা আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন- "অবশ্যই আল্লাহ তাআলা রমযান মাসের প্রত্যেক দিবস ও রাত্রিতে অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। এবং প্রত্যেক মুমিন বান্দার একটি করে দুআ কবুল করেন।"
মুসনাদে আহমদ হাদীস ৭৪৫০, মুসনাদে বাযযার, হাদীস-৯৬২

৪। হযরত আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, "আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে আগমন করে বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাকে এমন একটি আমল বলে দিন, যার দ্বারা আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব। তিনি বলেন, তুমি রোযা রাখ, কেননা এর সমতুল্য কিছু নেই। আমি পুনরায় তার নিকট এসে একই কথা বললাম। তিনি বললেন, তুমি রোযা রাখ।"
মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২২১৪৯; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস : ১৮৯৩; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৩৪২৬; সুনানে নাসায়ী, হাদীস : ২৫৩০

৫।যায়েদ ইবনে খালেদ আলজুহানী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি রোযাদারকে ইফতার করাবে সে রোযাদারের সমান সওয়াব পাবে এবং রোযাদারের সওয়াবও কোন ক্ষেত্রে কম হবে না।”
তিরমিযী: ৩/১৭১, নং- ৮০৭, আবূ ঈসা বলেন হাদীসটি হাসান সহীহ।

রামাদান সকলের জন্য হোক বরকত ময় ও নাজাতের মাধ্যম। পেইজের পক্ষ হতে সকলকে রামাদানুল মোবারকবাদ।

Comments

Popular posts from this blog

আমি মোটা

হতাশা বনাম চেষ্টা

বিয়ে পরবর্তী একটি হানিমুনের গল্প